SEE THIS POST

টিপস

 গুগলের নতুন আপডেট এর কারনে কি আপনার সাইটের র‍্যাঙ্ক কমে গেছে ? নিয়ে নিন তার সমাধান 


নতুন আপডেটের ফলে অনেক সাইট গুগল থেকে নাই হয়ে যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সার রা শুধু ধাবর খাচ্ছে তাদের ক্লাইন্টদের । আর হতাশা নয় এবার সু-খবর। এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব, গুগল আপডিট হলে ও আপনার সাইটের কিছু হবে না। এর জন্য এসইও করার সময় কিছু ভুল থেকে আমাদের কিছু ভুল থেকে বিরত থাকতে হবে তাহলে আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবনা। জেনে নেয়া যাক, এসইও করার ক্ষেত্রে বিপদ এড়ানোর জন্য কি কি ভুলের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।ভুল আমরা করি। এছাড়াও অনেকের ব্যাক্তিগত সাইটেও এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।  

এজন্য আগে জানা দরকার কেন আপনার সাইটের র‍্যাঙ্ক কমে যায়? 

১. কোন একটি সাইট যদি গুগলে জমা দেওয়ার আগে SEO করা এবং পুরনাঙ্গ SEO করার পর গুগলে জমা দেওয়া।এটি খুব জটিল সমস্যা। একটি সাইট সাধারণত যেদিন গুগলে জমা দেওয়া হয় গুগলে রোবট সেইদিন টিকেই সেই সাইটের জন্মদিন বলে মনে করে। আপনার সাইটটি যেহেতু আগে থেকেই SEO করা তাই স্বভাবতই আপনার সাইট একটি ভাল পর্যায়ে আছে।  আপনি যদি একটি ভাল পর্যায়ে থাকা সাইটকে গুগলে সাম্বিট করেন তবে স্বভাবতইআপনার সাইটকে গুগলে তার সার্চ রেজাল্টের উপরে দেখাবে। কিন্তু তখন গুগল মনে করবে যে আপনি গুগলের নিয়ম ভেঙ্গে প্রথমে এসেছেন।কারন একটি সাইট কখনই এত তারাতারি এত উপরে আস্তে পারেনা। তখন গুগল আপনার সাইটটিকে Pandaদিয়ে হিট করে Sandbox এ  পাঠিয়ে দিবে। তাই সবার কাছে অনরধ থাকবে যে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে SEO করুন। 

আর যারা এই প্রবলেম এ পরেই গেছেন তাদের একটাই বাচার উপায় আছে যে যত তারাতারি পারেন আপনার সমস্যাটি নিয়ে গুগল সাপোর্ট এ যোগাযোগ করুন।  

২. লোকোয়ালিটি কনটেন্টঃ গুগল পেঙ্গুইন সহ গত ১ বছরে যত আপডেট হয়েছে, সবগুলো আপডেটেই লোকোয়ালিটির কনটেন্টকে খুব শক্তভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে। এ যুগে  কোন ওয়েবসাইটে লোকোয়ালিটির কনটেন্ট থাকলে, সেটিকে গুগলের সার্চ রেজাল্টে থাকার স্বপ্নও দেখা উচিতনা।

৩.  নকল কনটেন্টঃ লোকোয়ালিটি কনটেন্টের চাইতেও বড় ধরনের বিপদজনক কাজ হচ্ছে নকল কনটেন্ট। নকল কনটেন্ট থাকা ওয়েবসাইটকে অফপেইজ এসইও করতে করতে শহীদ হয়ে গেলেও সেটিকে গুগলের সার্চের ভাল অবস্থানে আনতে পারবেননা। এক্ষেত্রে অনেক সময় গুগল আপনাকে ব্ল্যাক লিস্টেডও করে ফেলতে পারে।

৪. পাঠের অযোগ্য কনটেন্টঃ অনেক ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লেখার সময় অন্য কনটেন্টকে পরিবর্তন করে ইউনিক করা হয়। কিন্তু এই ইউনিক করার সময় সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করে এমনভাবে লেখা পরিবর্তন করা হয়, যার কারনে সঠিক অর্থ থাকেনা কিংবা সঠিক অর্থ বুঝাটা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে, গুগলকে ফাকি দিয়ে কনটেন্ট লিখে কোন লাভ নাই। কারণ যে কনটেন্ট দেখে মানুষ বিরক্ত হবে, সেই কনটেন্টকে গুগল কখনও পছন্দ করবেনা।

৫. সব পেজে একই টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশনঃ ওয়েবসাইটের ভিতরের সব পেজে একই টাইটেল এবং একই মেটা ডেসক্রিপশন থাকলে সেই ওয়েবসাইটের গুগলের পক্ষ হতে পেনাল্টি উপহার পাওয়ার খুব ভাল সম্ভাবনা আছে।

৬. খুব বেশি বিজ্ঞাপন কিন্তু অল্প কনটেন্টঃ গুগল পান্ডা আপডেটের পর কোন ওয়েবসাইটে খুব বেশি বিজ্ঞাপন কিন্তু কনটেন্ট অল্প, এরকম হলেও পেনাল্টি খেতে হবে।

. খুব বেশি পরিমানে লিংক এক্সচেঞ্জ করাঃ এসইও করার ক্ষেত্রে লিংক এক্সচেঞ্জ অনেকের কাছে খুব প্রিয়। এ কাজে উপকারও পাওয়া যায়। কিন্তু খুব বেশি পরিমানে এ কাজ করলে গুগলের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাড়ায়। ফলাফল, গুগল সার্চ হতে পেনাল্টি।

৮. ওয়েবসাইটে বার বার একই অ্যাংকর টেক্সট ব্যবহারওয়েবসাইটের কনটেন্টের সকল জায়গাতে যদি একই অ্যাংকর টেক্সট দিয়ে লিংক তৈরি করা হয়, সেটাকে গুগল খুব ভাল চোখে দেখেনা। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের অনেক জায়গাতেই SEO Training শব্দটি থাকতে পারে এবং আপনার কীওয়ার্ডও এটি। তাই বলে কনটেন্টের থাকা প্রতিটি একই শব্দে আপনাকে লিংক দিতে হবে কেন। যদি লোভ সামলাতে না পারে এই কাজটি করে থাকেন, তাহলে প্রস্তুত হন পেনাল্টি খাওয়ার জন্য।


৯.  কীওয়ার্ড স্টাফিংঃ এসইওর কাজে খুব পুরানো একটি স্পাম পদ্ধতি হচ্ছে ওয়েবসাইটের কনটেন্টে কীওয়ার্ডের ডেনসিটি বৃদ্ধি করা। কিন্তু আপনি যদি বিনা কারনে আপনার নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডটি কনটেন্টে লিখে ডেনসিটি বৃদ্ধি করেন, সেটি হলে নিশ্চিতভাবে পেনাল্টি খাবেন। শুধুমাত্র যেসব জায়গাতে প্রযোজ্য সেসব ক্ষেত্রেই কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করবেন।


১০.একের অধিক h1 ট্যাগের ব্যবহারঃ ওয়েবসাইটের একটি পেজে একবার h1 ট্যাগ থাকতে পারে। সুতরাং যদি আপনি এর চাইতে বেশি পরিমান h1 ট্যাগ ব্যবহার করেন তাহলে পেনাল্টি খেতে হবে।


১১.ওয়েবসাইট টেমপ্লেটে থাকা গুপ্ত লিংকঃ যারা জুমলা কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করেন, তারা বেশির ভাগই ফ্রি টেমপ্লেট ব্যবহার করেন। তাদের জন্য বলব ফ্রি জিনিস ব্যবহার ছাড়ার সময় হয়েছে। কারন যারা এই ফ্রি টেমপ্লেটগুলো অনলাইনে ছেড়েছে, তারা গোপনে সেখানে তার ওয়েবসাইটের লিংক ঢুকিয়ে দিয়েছে, যাতে তার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ব্যাকলিংক পায়। এই একটি ব্যাকলিংক দেয়ার বিনিময়ে আপনার জন্য উপহার হিসেবে অপেক্ষা করছে, গুগল থেকে বিশাল শাস্তি।


১২.ওয়েবসাইটের ভাষার চাইতে ভিন্ন ভাষার কোন সাইট হতে লিংকঃ আপনার ওয়েবসাইটের ভাষা ইংরেজী কিন্তু লিংকবিল্ডিং করছেন চীনা কিংবা রাশিয়ান ভাষার কোন ওয়েবসাইটে, তাহলে গুগল মামা একটু কনফিউশনে পড়ে যায়। ফলাফল হিসেবে শাস্তি পেয়ে যেতে পারেন, যদিও চীন কিংবা রাশিয়ার গুগলে আপনার অবস্থান ভাল থাকতে পারে।


১৩.ওয়েবসাইটে ব্রোকেন লিংকসঃ যদি আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ব্রোকেন লিংকস থাকে তাহলে সেটাকে গুগল অ্যালগোরিদম খুব খারাপভাবে চিহ্নিত করে। এখানেও ফলাফল হিসেবে আপনার কপালে পেনাল্টি জুটবে।


১৪. কোন এক্সটার্নাল লিংক না থাকা কিংবা খুব বেশি এক্সটার্ণাল লিংক থাকাঃ ওয়েবসাইটে খুব বেশি এক্সটার্নাল লিংক থাকলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার অবস্থান খারাপ হয়ে যাবে। একইভাবে ওয়েবসাইটে যদি একটাও এক্সটার্ণাল লিংক না থাকে তাহলে সেটার জন্য কপালে পেনাল্টি জুটবে।


১৫.থার্ড পার্টি সার্ভিসের গোপন লিংকঃ অনেক ওয়েবসাইটে দেখা যায় ঘড়ি, ভিজিটর কাউন্টার, আবহাওয়ার রিপোর্টসহ আরো অনেক ধরনের সার্ভিস। এগুলোর পিছনে অন্য ওয়েবসাইটের লিংক থাকে। এ ধরনের লিংকের জন্যও একটু রিস্ক থাকতে পারে। অর্থাৎ পেনাল্টি খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য এ ধরনের জিনিস ব্যবহার না করাই ভাল।


১৬. উচ্চ পেজর‌্যাংকের ওয়েবসাইটে পেইড লিংকঃ আমরা জানি উচ্চ পেজ র‌্যাংকের কোন ওয়েবসাইটে কোন লিংক দিলে সেই লিংক গুগল খুব সহজে ইনডেক্সিং হয়ে যায়। এসব ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পাওয়ার জন্য অনেকে কিছু পেইড করে ব্যাকলিংক সংগ্রহ করে। এসব পেইড ব্যাকলিংককে গুগল খুব বেশি পছন্দ করেনা। এ ধরনের পেইড ব্যকলিংকের কারনে গুগল সার্চ রেজাল্ট পেজ হতে পেনাল্টি খেতে পারেন।


১৭.কিছু ডলারের বিনিময়ে লিংকঃ আমাদের মেইলে প্রায়শ স্পাম মেইল পাই। এই মেইলগুলোতে সবচাইতে বেশি যেটা পেয়ে থাকি তা হল লিংক বিল্ডিং করে দেয়ার অফার। এইসব অফার দেখে যারা তাদের সার্ভিস নেয়ার চেষ্টা করে, তারাই গুগল থেকে পেনাল্টি খায়।


১৮. অল্প সময়ে অনেক বেশি লিংকঃ খুব দ্রুত সময়ে খুব বেশি লিংক করাকে গুগল বাঁকা চোখে দেখে। যতই আপনি লিগ্যাল লিংক ব্যবহার করেন, তারপরও অল্প সময়ে অধিক ব্যাকলিংকের কারনে গুগল হতে পেনাল্টি খেতে হবে।


১৯.নতুন ডোমেইনঃ আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন এবং সেটিতে কনটেন্ট দেওয়া শুরু করার আগেই মার্কেটিং শুরু করে দিলেন। এক্ষেত্রে গুগলের Sandbox filter অপশন থেকে আপনার ব্যপারে রিপোর্ট যাবে। ফলাফল পেনাল্টি।


২০.অ্যাফিলিয়েশন সাইটঃ অনেক সময় কিছু অ্যাফিলিয়েশন সাইট দেখি বিশেষ করে লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সাইটগুলো দেখলে মনে হয়, ওয়েবসাইট করাই হয়েছে, শুধুমাত্র অ্যাফিলিয়েশনের লিংক বসানোর জন্য। সেই ওয়েবসাইটগুলো অবশ্যই গুগল হতে পেনাল্টি খাবে।


২১.গুগল অ্যালগরিদমের পরিবর্তনঃ  গুগলের সার্চের অ্যালগরিদমের নতুন নতুন পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে ওয়েবসাইটকে আপডেট করতে না পারলে পেনাল্টি খেতে হবে।

সবশেষে বলব, ভাল কনটেন্ট এসইওতে আপনার কাজ অনেক সহজ করে দেয়। এখনও যারা লিংক বিল্ডিং করতে পারাকেই এসইও করা মনে করে, তাদের এখনই সাবধান হওয়ার সময়।  গেস্ট ব্লগিংয়ের মাধ্যমেই এখন খুব সহজেই এবং বিপদমুক্তভাবে এসইও করা যায়। যত আপডেট এসেছে কিংবা ভবিষ্যতে যত আপডেট আসবে, সকল আপডেটেই গেস্ট ব্লগিংকেই উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাছাড়া বাকি সব পদ্ধতিতেই কিছু বিপদ নিয়ে অবশ্যই টেনশনে থাকতে হবে।



READ This POst